প্রকাশিত: ০৯/১১/২০১৮ ৮:৪৯ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
সরকার ও বিরোধী দলের মতপার্থক্যের মধ্যেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী ২৩ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের বিষয়টি মাথায় রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশজুড়ে বিশেষ অস্ত্র উদ্ধার ও গ্রেফতার অভিযান শুরু করেছে।

পুলিশ সদর দফতরের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তফসিল ঘোষণার পর সারাদেশে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধীদের ধরতে অভিযান শুরুর নির্দেশ দেওয়া আছে। যাতে নির্বাচন সামনে রেখে জননিরাপত্তা নিশ্চিত ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরই অংশ হিসেবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন মহানগর ও জেলায় র‌্যাব-পুলিশের দৃশ্যমান তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। শুরু হয়েছে বিশেষ অভিযান। অভিযানের অংশ হিসেবে সড়ক-মহাসড়ক ও বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চৌকি, পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে নজরদারি করা হচ্ছে। প্রয়োজন মনে হলে, সন্দেহভাজনদের তল্লাশীও করা হচ্ছে।

এদিকে নির্বাচনের জন্য হুমকি হতে পারে এমন ব্যক্তিদের গ্রেফতার করতে শুরু হয়েছে বিশেষ তৎপরতা। তাছাড়া পথে-ঘাটে নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা করতে পারে এমন সন্দেহভাজনদের আটক করছে পুলিশ। তবে সাধারণ মানুষ যেন কোনোভাবেই হয়রানি না হয়, সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।

র‌্যাব পুলিশের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন এলে বিভিন্ন দলের প্রার্থীদের পক্ষ থেকে আধিপত্য বিস্তার ও পেশিশক্তি প্রদর্শনের মহড়া শুরু হয়। এসব কাজে ব্যবহার হয় অবৈধ অস্ত্র। পলাতক অবৈধ অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসীরা তাদের ডেরা থেকে বেরিয়ে প্রকাশ্যে আসার চেষ্টা করে।

পুলিশ সদর দফতরের তথ্য মতে, ২০১৭ সালে সারাদেশে সাড়ে পাঁচ হাজার অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এসব অস্ত্র উদ্ধারের বিপরীতে দুই হাজার ২০৮টি মামলা দায়ের হয়। তবে উদ্ধার বা আটকের বেশিরভাগ মামলাই বিচারাধীন। আইনের দীর্ঘসূত্রিতা ও সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিচার হতে সময় লাগছে।

জানা যায়, সারা দেশে ৫ শতাধিক অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী রয়েছে। অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র আছে ৪ লাখেরও বেশি। তাছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে মজুত করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকদ্রব্য। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এসব অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরকের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করতে পারে একটি মহল। তাছাড়া বৈধ অস্ত্রেরও হতে পারে অবৈধ ব্যবহার। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে, এই অভিযান শুরু করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দফতরে সহকারী মহাপরিদর্শক সোহেল রানা বার্তা২৪.কমকে বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ অভিযান নিয়মিত হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যারাই শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত হবে তাদের আইনের আওতায় আনার বিষয়ে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটা আমাদের জাতীয় নির্বাচনভিত্তিক রুটিন একটা কাজ।

একই বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, বুধবার থেকেই সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তাছাড়া অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান র‌্যাবের চলমান কার্যক্রমের একটি অংশ। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় এ দিকটি আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ অস্ত্র, ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তির পাশাপাশি চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের ও এই অভিযানের আওতায় আনা হবে।

পাঠকের মতামত

ফের লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আবারও চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে ...

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া সব কমিটি স্থগিত

শাহবাগে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রিফাত রশিদ। ছবি: সংগৃহীত কেন্দ্রীয় ...

শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ডে অভিভাবকের ফোন নম্বর যুক্ত করার নির্দেশ

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ডে বাবা-মা বা অভিভাবকের ফোন নম্বর সংযুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন ...